Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডে ১২৫ কুমিরকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পিএম

থাইল্যান্ডে ১২৫ কুমিরকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের একটি খামারে বিদ্যুতায়িত করে ১২৫টি কুমির হত্যা করা হয়েছে। কুমিরগুলো চলমান বন্যার মধ্যে পালিয়ে গিয়ে মানুষের জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে- এমন আশঙ্কায় এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন খামার মালিক।

বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

এ মাসে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলজুড়ে ভারি মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এসব দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছেন।

বেশ কয়েক দিন ধরে উত্তরের লামফুন প্রদেশে ভারি বৃষ্টির কারণে নাত্থাপাক খুমকাদের খামারের নিরাপত্তা বেষ্টনীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিন মিটার (১০ ফুট) দীর্ঘ সিয়ামিজ জাতের কুমিরগুলো পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসী ও গবাদিপশুর ওপর হামলা চালাতে পারে- এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খামারের মালিক নাত্থাপাক বলেন, খামারের প্রাচীরগুলো বন্যার কারণে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ১২৫টি কুমিরকে মেরে ফেলতে বাধ্য হয়েছি। তিনি ও তার কর্মীরা প্রাণিগুলোকে বিদ্যুতায়িত করে হত্যা করেছেন বলে জানান নাত্থাপাক।

তিনি বলেন, ওরা আমাদের সঙ্গে ১৭ বছর ছিল।

তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, একটি ডিগার ব্যবহার করে তিনটি বড় কুমিরকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মুক্ত চারণভূমিতে সিয়ামিজ কুমির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। তবে থাইল্যান্ডের অসংখ্য খামারে এ ধরনের কুমিরের চাষ বেশ জনপ্রিয়। মূলত চামড়ার জন্য এই কুমিরগুলোকে লালন-পালন করা হয়।

থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ ও প্ল্যান্ট কনজারভেসশন বিভাগের পশু চিকিৎসক পাতারাপোল মানিওর্ন বলেন, তিনি মালিকের সিদ্ধান্তের পেছনের চিন্তা ধরতে পেরেছেন। তবে তার মতে, কুমিরগুলোকে বন্যাকবলিত নয় এমন কোনো জায়গায় স্থানান্তর করা যেত।

তবে নাত্থাপাক বলেন, তিনি কুমিরগুলোর জন্য সাময়িক আশ্রয় পেতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন; কিন্তু এদের বড় আকৃতির জন্য তার এই অনুরোধ মানতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

পাতারাপোল এএফপিকে বলেন, দুর্যোগের সময় বিপজ্জনক প্রাণীদের বিষয়টি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বোঝাতে এ ধরনের একটি শিক্ষার প্রয়োজন ছিল।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম