ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে সমর্থন করবে না আমিরাত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পিএম
আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ
ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের প্রভাবে দিনদিনই জনমত হারাচ্ছে ইসরাইল। শুরুর দিকে ইসরাইলকে সমর্থন দিলেও এখনও অনেকেই আর সমর্থন দিতে পারছেন না এই যুদ্ধে। ইসরাইলের নাগরিকরাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি। গাজায় বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এরইমধ্যে গণবিক্ষোভ করছে দেশটির নাগরিকরা। এই অবস্থায় ইসরাইলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ, উত্তাল তেল আবিব
সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজায় ইসরাইলের পরিকল্পনায় সমর্থন করবে না। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।’
এর আগে, গত মে মাসে, ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। যেখানে তার দাবি, এটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে। এই পরিকল্পনায় বন্দর, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এই পরিকল্পনা যুদ্ধে বিজয়ের পর আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হতো।
যুদ্ধাঞ্চলে শিশুদের সুরক্ষার আহ্বান তুর্কি ফার্স্ট লেডির
যেই রোডম্যাপে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে পরিকল্পনাটি চালাবে। যা সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কোসহ আরব রাষ্ট্রগুলির একটি জোট তত্ত্বাবধান করবে।
যার প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুকে নিন্দা করেছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ। তার মতে, ‘এই পদক্ষেপটিতে বাস্তবায়ন বা অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার বৈধ কর্তৃত্বের অভাব ছিল। কেননা, গাজা পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি উপস্থিতি কভার প্রদানের লক্ষ্যে যে কোনও পরিকল্পনায় জড়িত হতে অস্বীকার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে যা ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সততা, যোগ্যতা এবং স্বাধীনতার দ্বারা আলাদা হবে। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই সরকারকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকবে।’