অভিবাসীদের পোষা প্রাণী খাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে উপহাস করেছে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ করা এক পোস্টে ট্রাম্পের বক্তব্যকে মিথ্যা বলে উপহাস করা হয়।

মন্ত্রণালয়টি জার্মান শক্তি নীতির সমালোচনারও জবাব দিয়েছে।

মঙ্গলবার ডেমোক্রেট প্রার্থী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কের সময়ও ট্রাম্প মিথ্যা দাবি করে বলেছিলেন, ওহাইওর স্প্রিংফিল্ডে বহু হাইতিয়ান অভিবাসী খাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পোষা প্রাণী অথবা পার্কগুলো থেকে বন্যপ্রাণী চুরি করছে।

বিতর্কে হ্যারিস বলেছিলেন, তিনি তার দেশকে শক্তির উৎসের আরও বৈচিত্র্যময় এবং টেকসই মিশ্রণের দিকে নিয়ে যেতে চান।  ট্রাম্প হ্যারিসকে আক্রমণ বলেছেন, জার্মানি জীবাশ্ম জ্বালানি ত্যাগ করার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে৷

এর প্রতিক্রিয়ায় জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলে- ‘এটি পছন্দ করুন বা না করুন’ জার্মানির শক্তি ব্যবস্থা ৫০ শতাংশেরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পূর্ণরূপে চালু রয়েছে। আর আমরা পারমাণবিক প্ল্যান্ট নির্মাণ বন্ধ করে দিচ্ছি, নির্মাণ করছি না। এছাড়াও ২০৩৮ সালের মধ্যে কয়লা গ্রিড বন্ধ হয়ে যাবে।

‘বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমরা কুকুর বিড়াল খাই না। #বিতর্ক২০২৪’

জার্মানির গ্রিনস পার্টির পরিচালনাধীন অর্থ মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট শেয়ার করে লিখেছে, ‘নতুন কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র? মোটেই না!’

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ হ্যারিসকে সরাসরি সমর্থন না জানালেও প্রশংসা করেছিলেন। জুলাইতে তিনি বলেছিলেন ‘ হ্যারিস একজন যোগ্য এবং অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি জানেন যে তিনি ঠিক কী করছেন’।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এবং প্রতিরক্ষায় কম ব্যয়ের কারণে ২০১৭-২১ সালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ক্রোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জার্মানি।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করবেন এবং ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যদের জন্য মার্কিন সমর্থনের শর্ত হিসেবে ওই দেশগুলোকে তাদের জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে।

জার্মান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এই বছর ২ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।