আসছে শরতের মধ্যেই যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জেলেনস্কির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাত। আক্রমণের শুরুতে রাশিয়ার দৃঢ়তা থাকলেও মাঝে সেটি ভেঙে পড়েছিল। তবে কয়েক মাস আগে থেকেই নিজেদের অবস্থানে ফিরে এসেছে মস্কো। অপরদিকে ইউক্রেনকে সাহায্যের দিক দিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলো।
এসবের মধ্যেই আসন্ন শরৎ মৌসুমের মধ্যেই চলমান এই যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আর এই লক্ষ্য তিনি রাশিয়াকে রাজি করাতে ন্যাটো দেশগুলোকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মানিতে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি রামস্টেইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই বক্তব্য বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিবৃতির বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনের মাটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, এটি অর্জন করতে হলে আমাদের তহবিল দরকার। আমরা দ্রুত সবকিছু তৈরি করতে প্রস্তুত, যা আমাদের এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে—সত্যিকারের শান্তির জন্য রাশিয়ার ওপর সিদ্ধান্তমূলক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে। আসুন আমরা এই শরৎকে রুশ আগ্রাসনের পতনের সময় করে তুলি এমনভাবে, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এবং একটি নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন অস্ত্র তৈরির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা এবং আর-২৭ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প ডিজাইন ও নির্মাণের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করছে। ইউক্রেনকে ড্রোন এবং ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সিস্টেম তৈরি করার অনুমতি দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কেনার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বরাদ্দ রেখেছে।
রণক্ষেত্রে কিয়েভ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। রুশ সৈন্যরা অবিচ্ছিন্নভাবে দনবাসে এগিয়ে চলেছে এবং পোকরভস্ক শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দনবাস থেকে মস্কোর বেশির ভাগ সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য করানোর আশায় ইউক্রেন ৬ আগস্ট রাশিয়ার কুরস্কে আক্রমণ শুরু করে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও সীমান্ত শহর সুদজা দখল করে। তবে তার পরও রাশিয়ার অগ্রগতি থামেনি।
চলতি সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কুরস্কে সবচেয়ে সুসজ্জিত ও অভিজ্ঞ ইউনিট পাঠানোর মাধ্যমে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী অন্যান্য ফ্রন্টে তাদের অবস্থান দুর্বল করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, রুশ বাহিনী দনবাসে তাদের আক্রমণ বাড়িয়েই যাচ্ছে।