
প্রিন্ট: ০১ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৩ এএম
পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে মার্কিন নারী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম

অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুসে এক মার্কিন নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে তাকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিহত ওই অধিকারকর্মীর নাম আয়শানুর ইজগি আইগি। নাবলুসের দক্ষিণে বেইতার মাউন্ট সিবেই এলাকায় ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভে যোগ দেন ২৬ বছর বয়সি এই তরুণী। এ সময় তার মাথায় গুলি করে ইসরাইলি সেনারা।
গুলি লাগার পর তাকে নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটির প্রধান ফুয়াদ নাফা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইজগি আইগি মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছান। আমরা তার একটা অপারেশন করার চেষ্টা করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি, স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ইসরাইলি বাহিনী। তখন ইজগি ইজি গুলিবিদ্ধ হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী আল জাজিরাকে বলেছেন, তিনি ইজগি আইগিকে জলপাই গাছের নীচে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার পশ্চিম তীরের নাবলুসের দক্ষিণে একটি গ্রামে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহত ওই কিশোরীর নাম বানা আমজাদ বকর। একজন ইসরাইলি সেনা তাকে বুকে গুলি করে।
খবরে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর সমর্থনে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ওই গ্রামে আক্রমণ করে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, ওই গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের একটি দল হামলা মোকাবিলার চেষ্টা করে।
এর মধ্যেই ইসরাইলি সেনার গুলিতে বিদ্ধ হন বানা। এরপর তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। তার বাবার ভাষ্য মতে, বানা বাড়ির ভেতরে তার শোবার ঘরে থাকা অবস্থায় তাকে গুলি করা হয়।