রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি চাইলেন জেলেনস্কি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
রাশিয়ার ‘রেড লাইন’ উপেক্ষা করে কিয়েভকে রুশ ভূখণ্ডে হামলার জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
এদিন জার্মানির রামস্টেইন এয়ার বেসে ইউক্রেনের মিত্রদের এক সভায় প্রথমবারের মতো উপস্থিত হয়ে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান। একই সময় যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের জন্য আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়।
জেলেনস্কি এ সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করতে দীর্ঘ পাল্লার হামলা একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে বলে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, আমাদের শুধু ইউক্রেনের দখলকৃত ভূখণ্ডেই নয়, বরং রাশিয়ান ভূখণ্ডেও এ দীর্ঘ পাল্লার সক্ষমতা দরকার। যেন রাশিয়া শান্তির পথ বেছে নিতে প্রভাবিত হয়।
এ সময় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের সাম্প্রতিক কুরস্ক অভিযানের প্রশংসা করেন। ইউক্রেন গত মাস থেকে রাশিয়ার এ ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে।
এ অভিযানকে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের নেতৃত্ব অর্জনের একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে অস্টিন বলেন, ক্রেমলিনের আগ্রাসী বাহিনী এখন তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডেই প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে।
তবে অস্টিনের বক্তব্যের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের প্রচেষ্টাকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে সমর্থন দেওয়ার দিকেই। যার মধ্যে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জেলেনস্কি আশা করছেন, এ মাসের শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি ‘বিজয় পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করবেন। তবে যুদ্ধের গতি এবং কুরস্ক অভিযানের ব্যর্থতার কারণে এটি স্পষ্ট নয় যে, রাশিয়ান ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানো ইউক্রেনের জন্য কৌশলগতভাবে কতটা ফলপ্রসূ হবে।
এদিকে রাশিয়ান বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে এবং কিয়েভের পাল্টা আক্রমণ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা দাবি করেছে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার কোনো শর্ত নেই। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন, ভারত ও ব্রাজিলকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইস্তাম্বুলে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে একটি সমাধানেরও পুনরাবৃত্তি করেছেন। যা সেই সময় বাস্তবায়িত হয়নি। সূত্র: আল-আরাবিয়্যাহ