ফিলিপাইনের ‘চীনা গুপ্তচর’ মেয়র গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
চীনের হয়ে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার অভিযোগে ফিলিপাইনের সাবেক মেয়র অ্যালিস গুওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার তাকে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। যা ফিলিপাইনের বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলার প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিলিপাইনের জাতীয় পুলিশ (পিএনপি) এবং জাতীয় তদন্ত ব্যুরোর (এনবিআই) একটি বিস্তৃত তদন্তের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় তার গ্রেফতারি সম্পন্ন হয়, যারা কয়েক মাস ধরে মেয়র গুওর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
পিএনপি সূত্র অনুযায়ী, ওই মেয়রের বিরুদ্ধে চীনা কর্মকর্তাদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্ত।
অ্যালিস গুওর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের পদমর্যাদা ব্যবহার করে চীনের পক্ষে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতেন, যা ফিলিপাইনের সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
যদিও মেয়রের গ্রেফতারের বিষয়টি ফিলিপাইনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় প্রভাব ফেলেছে। কারণ বিষয়টি দেশটির স্থানীয় সরকার ইউনিটগুলোর মধ্যে বিদেশি প্রভাবের পরিমাণ সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মামলাটি সম্ভবত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদেশি শক্তির সংযোগ সম্পর্কিত বিস্তৃত তদন্তের দিকে নিয়ে যাবে।
ফিলিপাইন সরকারের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মেয়রের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা এবং গুপ্তচরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার ফলে ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী তাকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যখন দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন ও চীন আঞ্চলিক বিরোধে লিপ্ত এবং এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
চীনের হয়ে গুপ্তচরের অভিযোগে ফিলিপাইনের একজন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির গ্রেফতার সম্পর্কিত এ খবরটি উভয় দেশের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করতে পারে।
যদিও চীনা দূতাবাস ম্যানিলার মেয়রের গ্রেফতার সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি এবং বেইজিং এ অভিযোগের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটাও এখনও পরিষ্কার না।
ঘটনাটি মূলত ফিলিপিন্স সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার চলমান চ্যালেঞ্জগুলোকেই তুলে ধরেছে। যখন অঞ্চলটির মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি