ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৭ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। খবর আসাম ট্রিবিউনের।
এতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার তিন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন তাসনিম, ইমরান ও জসিত। তাদের সবার বিরুদ্ধে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশের বৈধ কোনও নথি দেখাতে পারেননি। সোমবার আরও পরের দিকে তাদের স্থানীয় আদালতে তোলা হবে।
এর আগে, ত্রিপুরার লঙ্কা মুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধেও সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতের প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই সময়ে ত্রিপুরার সিটি সেন্টারের সামনে থেকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আগরতলার আরএমএস চৌমুহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
পৃথক অভিযানে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে। ত্রিপুরার কারবুক থানা এলাকার ভাটিয়াবাড়ি এলাকার সীমান্ত চৌকির কাছে থেকে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও এক শিশু রয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ত্রিপুরায় অতিরিক্ত তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছে বিএসএফ। একই সঙ্গে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ত্রিপুরা পুলিশ বলছে, কারবুক থানা এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃতরা বাংলাদেশের খুলনা, ফেনী, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নড়াইলের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা জানতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে, আলাদা অভিযান চালিয়ে ত্রিপুরা উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর ত্রিপুরার ভাইথানবাড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করেছে একদল বাংলাদেশি। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা দেশটিতে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিয়েছে।