হঠাৎ জার্মানিতে ন্যাটোর ঘাঁটিতে সতর্কতা কেন?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় জার্মানিতে ন্যাটোর একটি বিমান ঘাঁটিতে সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছে৷ ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার কারণে জার্মানিতে সামরিক স্থাপনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনকে সক্রিয় মদত দেওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্ব এখনও সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি৷ কিন্তু মৌখিক প্রতিবাদ ও হুমকির পাশাপাশি রাশিয়া সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করছে বলে সন্দেহ বাড়ছে৷
জার্মানির কোলন শহরের কাছে এক সামরিক ঘাঁটিতে এমন নাশকতার চেষ্টার পর সে দেশেই ন্যাটোর এক ঘাঁটির ওপর ‘সম্ভাব্য হুমকি'-র মুখে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ প্রায় এক সপ্তাহ আগে কোলোনের ঘাঁটির পানীয় জল স্থাপনার কাছে প্রাচীরে গর্ত আবিষ্কারের পর নাশকতার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, জার্মানির পশ্চিমে গাইলেনকিয়র্শেন শহরের কাছে ন্যাটোর বিমানঘাঁটি সম্ভাব্য হুমকির মুখে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে মনে করা হচ্ছে৷ ফলে সতর্কতার মাত্রা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে, যা ‘চার্লি’ নামে পরিচিত৷ এর আওতায় পরিচালনার কাজে সরাসরি যুক্ত কর্মী ছাড়া বাকিদের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সেই ঘাঁটিতে ন্যাটোর ‘এওয়্যাক্স’ নজরদারি বিমান মোতায়েন রয়েছে৷
সম্প্রতি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল৷ তবে সেটাই বর্তমান হুমকির কারণ কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই জার্মানিতে সামরিক স্থাপনায় সতর্কতা অনেক বাড়ানো হয়েছে৷ গত এপ্রিল মাসে তদন্তকারীরা দুই রুশ-জার্মান ব্যক্তিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে৷ তারা ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তায় বাধা সৃষ্টি করতে জার্মানিতে হামলার ষড়যন্ত্র করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ তদন্তকারীদের মতে, জার্মানিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল৷
আখেন শহরের কাছে গাইলেনকিয়র্শেন ঘাঁটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ন্যাটোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপের আশঙ্কায় এমন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তবে এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ নিরাপদে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলার চালিয়ে যেতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে তিনি সন্দেহের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানি৷ বিমান ঘাঁটিতে পুলিশের উপস্থিতিও বাড়ানো হয়েছে৷