যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার এমনটিই দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, রাশিয়ায় অন্তত ১১টি ড্রোন হামলা হয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোতে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। তবে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।
এতদিন মূলত পূর্ব ইউক্রেনের মাঠ, বন এবং গ্রামজুড়ে যুদ্ধ চলছিল। তবে গত ৬ আগস্ট ইউক্রেনের হাজার হাজার সেনা রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়লে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে বড় এলাকাজুড়ে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে রাশিয়ার ভূখণ্ডে বড় ধরনের হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। ২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এটি রাশিয়ায় কিয়েভের সবচেয়ে বড় অভিযান। এরই মধ্যে কুরস্ক অঞ্চলের কয়েকটি সেতু ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কুরস্কে সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হলো, রাশিয়ার হামলা থামিয়ে একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা।
তিনি বলেছেন, ‘অভিযানটি আমাদের প্রত্যাশিত পথেই এগোচ্ছে। এখন আমরা আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছি। আমাদের উপস্থিতির ভিত্তি আরও মজবুত হচ্ছে।’
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা রাশিয়ার ভূখণ্ডে মোট ৪৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে ১১টি মস্কো অঞ্চলে, ২৩টি ব্রায়ানস্কের সীমান্ত অঞ্চলে, ছয়টি বেলগোরড অঞ্চলে, তিনটি কালুগা অঞ্চলে এবং দুটি কুরস্ক অঞ্চলে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, পোডলস্ক শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। মস্কো শহরটি ক্রেমলিন থেকে প্রায় ২৪ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত।
বুধবার ভোররাতে এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেছেন, ড্রোন ব্যবহার করে মস্কোতে হামলার এটাই সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টার একটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা রাশিয়ার দুই নাগরিক বলেছেন, নস্যাৎ করা এ ড্রোন হামলার ঘটনায় বোঝা যায়, মস্কো এখন কতটা সুরক্ষিত। ইউক্রেন কুরস্ক এবং মস্কো উভয় অঞ্চলে আক্রমণ করে আগুন নিয়ে খেলছে। সূত্র: রয়টার্স