বিশ্বে বেকারত্ব কমে ১৫ বছরে সর্বনিম্ন: আইএলও
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
বিশ্বজুড়ে কমেছে তরুণ বেকারত্বের হার। গত ১৫ বছরে এই হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এ ধারা ২০২৫ সাল নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আইএলও বলেছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ছয় কোটি ৪৯ লাখ তরুণ বেকার ছিলেন। সেই হিসাবে বেকারত্বের হার ছিল ১৩ শতাংশ। এ হার এ বছর ও আগামীতে আরও কমে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে নামতে পারে। করোনা মহামারির পর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটা বেড়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ফলে শ্রমবাজারে তরুণদের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। এ বিষয়টি তরুণদের মাঝে বেকারত্ব কমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গত বছর নারী এবং যুবকদের যুব বেকারত্বের হার প্রায় সমান ছিল। করোনা মহামারীর আগের বছরগুলোতে তরুণদের বেকারত্বের হার বেশি ছিল। তবে ২০২৩ সালের পর তরুণদের মাঝে বেকারত্বের হার অনেকটা কমে এসেছে।
চলতি এবং আগামী বছর এ হার আরও কমবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী অর্ধেকেরও বেশি তরুণ কর্মীরা অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে রয়েছেন। শুধুমাত্র উচ্চ এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে বেশির ভাগ তরুণ কর্মী নিয়মিত অথবা নিরাপদ চাকরিতে রয়েছেন। স্বল্প-আয়ের দেশগুলোতে প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন তরুণ কর্মী একটি স্ব-নিযুক্ত বা অস্থায়ী বেতনের চাকরি করছেন। কিন্তু সব অঞ্চলের পরিস্থিতি এক নয়। গত বছর আরব দেশগুলো, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণদের বেকারত্বের হার ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি ছিল। দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে পিছিয়ে পড়েছে এই অঞ্চলগুলো।
প্রতিবেদনে তরুণদের উদ্বেগ মোকাবেলা করতে ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বর্ধিত এবং আরও কার্যকর বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে আইএলও। যার মধ্যে রয়েছে অল্পবয়সি নারীদের জন্য চাকরির একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, শ্রমবাজার পরিবর্তনের মাধ্যমে তরুণদের সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষা একীভূত করা, উন্নত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক বৈষম্য মোকাবেলা করা।