ছবি: সংগৃহীত
নাইজেরিয়ায় বাড়ছে লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা। নাইজেরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সবশেষ দেওয়া বৃহস্পতিবারের এক বিবৃতি অনুসারে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ১৬৩ জন।
বিবৃতি অনুসারে লাসা জ্বরের প্রাদুর্ভাব নাইজেরিয়ার ৩৪টি রাজ্য ও ফেডারেল ক্যাপিটাল টেরিটরিতে ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই রোগ থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত ৩টি ওষুধ ঘোষণা করেছে নাইজেরিয়া সরকার।
লাসা জ্বর সাধারণত, ইঁদুরের মলের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। পরবর্তীতে যা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। এটির প্রভাবে মারাত্মক রক্তক্ষরণজনিত জ্বর হতে পারে। এই রোগটি সাধারণত শুষ্ক মৌসুম নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত ছড়ায় বলে এ সময় বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়।
এর আগে, ২০২৩ সালে লাসা জ্বরে ১ হাজার ২২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ২১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যে প্রথম এই রোগ সনাক্ত করা হয়। যা পরবর্তীতে মালি, টোগো, ঘানা, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনের মতো অন্যান্য আফ্রিকান দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। লাসা জ্বরের ভয়াবহতার শিকার হয়েছিল নাইজেরিয়া ২০১৯ সালে। সেবার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিল দেশটি।