ছবি: সংগৃহীত
নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যে একটি জনবহুল চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে ১৯ জন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এটি দ্বিতীয় বোমা বিস্ফোরণ।
বুধবার রাতে নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যে নিরাপত্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
নিরাপত্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোর্নো রাজ্যের রাজধানী মাইদুগুরি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে কাউরি গ্রামে স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
তারা আরও জানান, বোর্নো রাজ্যের রাজধানী মাইদুগুরি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে কাউরি গ্রামে স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
কর্মকর্তারা বলেন, বোমাটি মাটিতে পোঁতা ছিল এবং এটি কোনো আত্মঘাতী হামলা নয়। কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। বোর্নোতে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী বোকো হারাম এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স সক্রিয় রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ হামলার প্রতিক্রিয়ায় স্বল্প নোটিসে চলাচলের বিধিনিষেধ, যানবাহন চেক বা কারফিউ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারে।
বোর্নো রাজ্যের গোজা এলাকায় সন্দেহভাজন নারী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের ধারাবাহিক হামলায় ৩২ জন নিহত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটল। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, গোজায় বিবাহ, হাসপাতাল এবং সমাধিস্থল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।
বোর্নো ১৫ বছরের ইসলামপন্থী বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ বিদ্রোহে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যদিও নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী জঙ্গিদের সক্ষমতা হ্রাস করেছে, তবু তারা এখনো বেসামরিক নাগরিক এবং নিরাপত্তা লক্ষ্যবস্তুতে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।