পাকিস্তানে উপজাতীয় সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪৩
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
![পাকিস্তানে উপজাতীয় সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪৩](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/07/29/image-831659-1722262993.jpg)
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কুররম জেলায় উপজাতীয় সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
গত ৬ দিন ধরে চলা এ সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার দেশটির গণমাধ্যমগুলো এ হতাহতের তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান অবজারভার বলছে, কুররম জেলায় দুটি উপজাতী গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ সমাধানের জন্য উপজাতীয় প্রবীণরা এবং সরকারের প্রচেষ্টার মধ্যেই এ সংঘর্ষ এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪ জুলাই এ সংঘর্ষ শুরু হয়। যা পরে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে জেলার প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ডনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষের ঘটনায় জেলার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাজারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাস্তাঘাট বন্ধ থাকায় এলাকায় খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, কুররম জেলার কর্মকর্তারা একটি এলাকায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। তবে অন্যান্য স্থানে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, যুদ্ধরত পক্ষগুলো ভারী অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে। যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের গভীরভাবে প্রভাবিত করছে।
এদিকে ক্রমাগত সংঘর্ষ এবং সড়ক বন্ধ রাখায় কুররম জেলার সহিংসতার বিরুদ্ধে পেশোয়ার ও রাজাধানী ইসলামাবাদসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররম জেলাটি মূলত আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় এ অঞ্চলে উপজাতীয় সংঘর্ষ, ধর্মীয় উত্তেজনা এবং মাঝে মাঝে সশস্ত্র হামলার ইতিহাস রয়েছে।
২০০৭ সালে ওই এলাকায় একটি বড় সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে এবং তা ২০১১ সাল পর্যন্ত চলে। সংঘাতটি ‘জিরগা’ নামে উপজাতীয় প্রবীণদের ঐতিহ্যবাহী সমাবেশের মাধ্যমেই সমাধান করা হয়েছিল।