‘বিবাহিত হয়েও লিভ ইন সম্পর্কে থাকা অবৈধ, এরা সংবিধানের সুরক্ষা পাবেন না’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
প্রতীকী ছবি
বিবাহবহির্ভূত লিভ ইন সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের পুলিশি নিরাপত্তা দিলে ভারতীয় সমাজের গভীর নৈতিকতাবোধ ও সামাজিক বিধি অগ্রাহ্য করে গড়ে ওঠা এই সম্পর্কগুলি স্বীকৃতি পেয়ে যাবে বলে আদালত যুক্তি দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
বিবাহিত হয়েও তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস (লিভ ইন) করলে মা - বাবা ও পরিবারের সম্মানে আঘাত লাগে। এই কারণ দেখিয়ে ৩ জোড়া সহবাসসঙ্গী (লিভ ইন পার্টনারস) কে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, আবেদনকারীরা নিজেদের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জন করতে গিয়ে বাবা - মায়ের সসম্মানে বাঁচার অধিকার হরণ করেছেন।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দীপ মুদগল তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জীবনের অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার উল্লেখ রয়েছে সেখানে ব্যক্তিকে সসম্মানে বাঁচতে দেওয়ার কথারও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আবেদনকারীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পরিবারের বদনাম হচ্ছে। সঙ্গে তারা তাদের বাবা - মায়ের সসম্মানে বাঁচার অধিকার হরণ করছেন। একথা বলে ৩ জোড়া সহবাস সঙ্গীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেন বিচারপতি।
পুলিশি নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করে আদালত যুক্তি দিয়েছে, এভাবে বিবাহবহির্ভূত লিভ ইন সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের পুলিশি নিরাপত্তা দিলে ভারতীয় সমাজের গভীর নৈতিকতাবোধ ও সামাজিক বিধি অগ্রাহ্য করে গড়ে ওঠা এই সম্পর্কগুলি স্বীকৃতি পেয়ে যাবে। আদালত জানিয়েছে সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার যে অধিকারের উল্লেখ করেছে তা শুধু বৈধ আইনি পরিসরে কার্যকর হয়।
বিচারক উল্লেখ করেন, এই ধরণের ব্যক্তিদের আবেদন মেনে নিলে বিপথগামীরা উৎসাহিত হবে। এরা বহুগামিতাকে প্ররোচনা দিচ্ছে। যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুসারে অপরাধ। এছাড়া এরা নিজেদের বিবাহিত জীবনসঙ্গী ও সন্তানদের সসম্মানে বাঁচার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় সমাজের বুননকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনও লিভ ইন সম্পর্ক মেনে নেওয়া যাবে না।