Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

কার্গিল যুদ্ধের ২৫ বছর পূর্তিতে পাকিস্তানকে কড়া হুশিয়ারি মোদির

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম

কার্গিল যুদ্ধের ২৫ বছর পূর্তিতে পাকিস্তানকে কড়া হুশিয়ারি মোদির

ছবি সংগৃহীত

১৯৯৯ সালের মে মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ভারত এবং পাকিস্তান। ৩ মে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এই লড়াইকে ইতিহাসে কার্গিল যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।  

ওই যুদ্ধের ২৫ বছর পূর্তিতে নিহত সেনা সদস্যদের সম্মানে লাদাখ সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। 

এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অতীত যুদ্ধ থেকে  শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান। তাই এখনো ‘সন্ত্রাসবাদী প্রচেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম উত্তেজনাপূর্ণ লাদাখ সফর করেছেন মোদি।

মোদি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান। ওদের সব সন্ত্রাসবাদী হামলা ব্যর্থ করে দেব আমরা।’

লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র স্বাধীনতাকামীদের সংঘাত লেগেই আছে দীর্ঘদিন ধরে। ভারতের অভিযোগ, এসব গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে পাকিস্তান।

মোদি আরো বলেন, ‘আমি সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের বলব, ওদের অপচেষ্টা কখনই সফল হবে না। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেব। লাদাখ বা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে হারাবে ভারত। পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তারা সন্ত্রাসবাদ এবং ছায়া যুদ্ধ ব্যবহার করে। আমি আজ এমন একটি জায়গা থেকে কথা বলছি, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা সরাসরি আমার কথা শুনবে। আমি তাদের বলতে চাই, তাদের পরিকল্পনা কখনই সফল হবে না। ’

জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রের অধীনে আনার পর থেকে ভারতের ক্ষমতাসীন জোট বিজেপি সেখানে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে এই অঞ্চল ঘিরে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। তবে সে সবে তোয়াক্কা না করে উন্নয়নের বানী প্রচার করে যাচ্ছে বিজেপি। 

মোদির ভাষায়, ‘লাদাখ হোক বা জম্মু ও কাশ্মীর, আমরা উন্নয়ন চালিয়ে যাব। ৫ আগস্ট, ৩৭০ ধারা বাতিলের ৫ বছর পরে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। পরিকাঠামো ও পর্যটন খাত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক দশক পর কাশ্মীরে সিনেমা হল খুলেছে। কয়েক দশক পর শিয়া সম্প্রদায় শ্রীনগরে তাকিয়া পালন করেছে।”

সূত্র: এনডিটিভি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম