বিচারক, আপনাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে: ইমরান খান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ পিএম
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রোববার তোশাখানা মামলার শুনানিকালে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) চেয়ারম্যানের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে জেলে রাখেন, কিন্তু আমার স্ত্রীকে মুক্তি দিন। তাকে কেন আটকে রেখেছেন?’ শুধু তাকে (ইমরান) কষ্ট দেওয়ার জন্যই বুশরা বিবিকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
রোববার আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে শুনানির শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ার অনুপস্থিতিতির বিষয়ে আপত্তি জানান। তিনি বলেন, ‘মিডিয়াকে অনুমতি না দিলে আমি আদালত থেকে বেরিয়ে যাব।’
আদালত পরবর্তীতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কারাগারের ভেতরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন এবং তারা আসার পর শুনানি শুরু হয়।
ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি সম্প্রতি ‘বেআইনি বিবাহ’ সংক্রান্ত একটি বড় মামলায় খালাস পান। তবে এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিন আদালতে তিনি সরাসরি বিচারককে সম্বোধন করে জোর দিয়ে বলেন, তোশাখানা মামলা সঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবির দূরতম কোনো যোগসূত্র নেই।
ইমরান খান এ সময় বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি জেলে বসে দৈনিক চারবার পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করেছি এবং এটি (কুরআন) বিচারকদের ওপর বড় দায়িত্ব অর্পন করেছে। বিচারক, আপনাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে, আইএসআইয়ের কাছে নয়। বিচারক বশির বলেছেন, বন্দুকের মুখে আমার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
কেবল তাকে ঘায়েল করতেই তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে টার্গেট করার জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে ইমরান বলেন, ‘আমাকে কষ্ট দিতেই আমার স্ত্রীকে টার্গেট করা হচ্ছে। কারণ আমি যাকে আইএসআই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি এবং আমার স্ত্রীও তাকে সমর্থন করেনি।’
ইমরান এ সময় বিরক্তভাবে মন্তব্য করে বলেন, ‘একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মাঝরাতে বলা হচ্ছে যে, তাকে সকালে একটি নতুন মামলার জন্য হাজির হতে হবে।’
তিনি এ সময় জবাবদিহিতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা (এনএবি) সমালোচনা করেন। অভিযোগ তুলে বলেন, সংস্থাটি রোবটের মতো কাজ করে, যা করার জন্য তাদের বেতন দেওয়া হয়, তা করে না।
এদিন শুনানি শেষে ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ৮ দিনের রিমান্ড অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতে শুনানির পুরো সময়জুড়ে এই দম্পতি একসঙ্গে বসেছিলেন। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন