খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৩ শতাধিক হতাহত
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
![খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৩ শতাধিক হতাহত](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/07/13/image-827622-1720867300.jpg)
অধিকৃত গাজার পশ্চিম খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার বাস্তুশিবিরে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৮৯ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাস ও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও পৃথক বিবৃতিতে শনিবার দুপুরে এ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীসহ তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা আল জাজিরার সংবাদকর্মীদের মতে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান আল-নুস গোলচত্বরের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দিকে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আল-মাওয়াসির তাঁবুগুলো এবং একটি পানি বণ্টন ইউনিটের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানে। যার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র আল জাজিরাকে বলেছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এলাকাটিকে ইসরাইলি বাহিনী তথাকথিত ‘নিরাপদ’ অঞ্চল হিসাবে মনোনীত করেছিল।
হামাস পরিচালিত গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু ক্যাম্প লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী একটি বড় গণহত্যা চালিয়েছে। ভয়াবহ এ গণহত্যায় সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের সদস্যসহ তিন শতাধিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের কর্মীরা তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাসের হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন, ৫০টিরও বেশি মৃতদেহ এবং শতাধিক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলছিলেন যে, আমাদের মেডিকেল টিমের আর কোনো আহত রোগীকে গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই।
এদিকে বেশ কয়েকজন আহতকে রাফাহর হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। তবে চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতির কারণে তারাও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে অক্ষম বলে জানিয়েছে।
এদিকে হামলার লক্ষ্য ‘খুবই তাৎপর্যপূর্ণ’ ছিল বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। নিজেদের রেডিও প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বর্বর বাহিনীটি।