জেলেনস্কিকে সরিয়ে দিতে চায় পশ্চিমা মিত্ররা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায় দেশটির পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষক ও মিত্ররা। সেই সঙ্গে তারা জেলেনস্কির একজন স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টাও শুরু করেছে বলে খবর দিয়েছে রাশিয়ার একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
সম্প্রতি এক গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রাশিয়ার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভস বা এসভিআরের একজন কর্মকর্তা এ দাবি করেছেন।
শুক্রবার এসভিআরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন রাজভেদচিকের সর্বশেষ সংখ্যায় এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এতে ওই রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে ব্যর্থতার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি ইউক্রেনের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত মে মাসে জেলেনস্কির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, তার প্রতি গণঅসন্তোষ বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তাকে সরিয়ে দিতে চায় পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলো যে হাজার হাজার কোটি ডলারের সাহায্য দিচ্ছে, তা গ্রহণের প্রকল্পগুলোতে জেলেনস্কি জড়িত থাকায় এখনও তাকে সহ্য করে যাচ্ছে পশ্চিমা মিত্ররা। তবে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সময় ও সুযোগের সন্ধানে রয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তাদের দেওয়া ওই অর্থ সাহায্য দিয়ে সমরাস্ত্র কেনার প্রকল্পে ইউক্রেন সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমা অস্ত্র নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোও ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এসভিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কিকে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য পশ্চিমারা এরইমধ্যে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো, কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিতশেকো এবং জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়েরমার্কের সঙ্গে কথাও বলেছে।
এছাড়া ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি ও সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার দিমিত্রি রাজুমকভকেও জেলেনস্কির স্থলাভিষিক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কিয়েভকে হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। তা সত্ত্বেও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না ইউক্রেন। এ কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পশ্চিমা নেতারা।
এমন পরিস্থিতে সাবেক এই কৌতুক অভিনেতার জন্য ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র!