জার্মানিতে ২৬ সালের মধ্যে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করার জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির এক যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে এসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে এসএম (স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল)-৬, ট্যোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অন্যতম।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা হবে। এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বর্তমানে ইউরোপে মজুত যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি পাল্লাসম্পন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেইথন এই স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৬ ও ট্যোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করেছে।
১৯৮৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান স্বাক্ষরিত ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটির (আইএনএফ) আওতায় ইউরোপে ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ চুক্তির মেয়াদ ছিল।
এই চুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তৎকালীন দুই পরাশক্তি তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার কমাতে সম্মত হয় এবং অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জার্মানি, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র ১৯৯০-এর দশকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করে। পরে স্লোভাকিয়া ও বুলগেরিয়াও একই পথ অনুসরণ করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে নিজেদের আইএনএফ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, মস্কো চুক্তি লঙ্ঘন করে ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এ ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটোতে এসএসসি-৮ নামে পরিচিতি। তবে মস্কো বারবার অস্বীকার করেছে, তারা ৫০০ থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে গত জুন মাসের শেষদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার অবশ্যই মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বহণকারী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরুর বিষয়ে নতুন করে ভাবা উচিত।
পুতিন বলেন, রাশিয়া এ জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্র আবারও উৎপাদন শুরু করেছে এবং সেগুলো দিয়ে মহড়া চালানোর জন্য ডেনমার্ক ও ফিলিপাইনেও নিয়ে গেছে।