রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কোয় গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি এ সফরে গেলেন। তাছাড়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সেদেশে পা রাখলেন মোদি।
সোমবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠক করার কথা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের মুখে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করে রাখতে পশ্চিমা বিশ্বের চেষ্টার মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফর এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, তিনি মস্কোর সঙ্গে নিজের কূটনৈতিক পথে অটল রয়েছেন।
রাশিয়ায় রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আমন্ত্রণে ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি রাশিয়া সফর করছেন।
গত ১০ বছরে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে আমি বিভিন্ন আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব। তাছাড়াও সফরকালে আমি রাশিয়ার বসবাস করা ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।
ওদিকে ক্রেমলিন বলেছে, মোদির এই রাশিয়া সফরকে ভাল চোখে দেখছে না পশ্চিমারা। পশ্চিমা দেশগুলো মোদির রাশিয়া সফরকে কিভাবে দেখছে সে প্রশ্নের জবাবে এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ঈর্ষায় জ্বলছে। তারা নিবিড় ভাবে সফরের দিকে নজর রাখছে। তাদের এই নজরদারিই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে তো বটেই, সমসাময়িক নানা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হবে।
এনডিটিভি জানায়, মোদি সর্বশেষ রাশিয়া সফর করেছিলেন ২০১৯ সালে। এবার দু’দিনের সফর শেষে রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়ায় যাবেন তিনি। এর একদিন পর ফিরবেন ভারতে।