প্রথম ফোন কলে নেতানিয়াহুকে কী বললেন স্টারমার?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
ছবি সংগৃহীত
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, গাজায় চলছে ইসরাইলি যুদ্ধ। অন্যদিকে লেবানন সীমান্তে চলছে হিজবুল্লাহকে ঘিরে প্রবল উত্তেজনা। বিশ্ব পরিস্থিতি টালমাটালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কিয়ের স্টারমার। পশ্চিমা মিত্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের বড় সমর্থন পেয়ে থাকে ইসরাইল। নির্বাচিত হওয়ার পর এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেছেন স্টারমার।
সোমবার এক প্রতিবেদনে আল আরাবিয়্যাহ জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রথমবারের মতো ফোন কলে কথা বলেছেন স্টারমার। যেখানে লেবানন সীমান্তে ইসরাইলসহ সব পক্ষকে ‘সংযত’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিবদমান উত্তেজনায় বড় সংঘাতে না জড়ানোকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেছেন স্টারমার।
ফোনকলে স্টারমার নেতানিয়াহুকে বলেন, ‘ইসরাইলের উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সব পক্ষ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছে’।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্টী হিজবুল্লাহ রোববার উত্তর ইসরাইলে আরও ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এই হামলায় সেখানে একজন আহত হয়েছে। হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইসরাইলি সীমান্তে আক্রমণ করে আসছে হিজবুল্লাহ।
কথোপকথনে স্টারমার আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন এবং বেসামরিক মানুষের কাছে মানবিক সহায়তার পরিমাণ অবিলম্বে বাড়ানোর জন্য স্পষ্ট এবং জরুরী নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আর্থিক কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিষয়গুলোও নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ’।
মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোন কল স্টারমারের
যুক্তরাজ্যের প্রধামন্ত্রীর দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন স্টারমার।
স্টারমার আব্বাসকে বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ায় স্বীকৃতির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের নীতি একই থাকবে। এটি ফিলিস্তিনিদের অনস্বীকার্য অধিকার।’
ইসরাইলি হিসাবে, ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার ফলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। একইসঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মিও করে নিয়ে যায় হামাস, কিছু জিম্মি মুক্তি পেলেও ১১৬ জন এখনো গাজায় রয়ে গেছে। যার মধ্যে ৪২ জন নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ কমপক্ষে ৩৮ হাজার ১৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক।