ছবি: সংগৃহীত
টানা ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখলো যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি। সবশেষ চার নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে জৌলুশ হারাতে বসা দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন গল্প লিখল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ঋষি সুনাকের দলকে হারিয়ে, পেলো বড় জয়।
ফলে, ২০১০ সালের পর আবারও যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় আসছে ১২৪ বছরের পুরাতন লেবার পার্টি। এর আগে, ২০০৫ সালে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে শেষবারের মতো নির্বাচনে জিতেছিল তারা। ২০১০ সালে লেবার পার্টির সবশেষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন গর্ডন ব্রাউন।
এর আগে, ১৯৭৯ সালের পর ১৮ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল লেবার পার্টি। টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে দীর্ঘদিনের সেই জয়ের খরা ঘুচিয়ে ছিল দলটি।
লেবার পার্টিকে সবচেয়ে বেশি তিনটি নির্বাচনে জয় এনে দেওয়া ব্লেয়ার দলটির হয়ে ক্ষমতায়ও ছিলেন সর্বোচ্চ ১০ বছর। লেবারদের সবশেষ জয়টি এসেছিল সেই টনি ব্লেয়ারের হাত ধরেই। ২০০৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে পর একুশ শতকে আর ক্ষমতার স্বাদ পায়নি লেবাররা।
কেন বিশ্ব নজরে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন?
টনি ব্লেয়ারের পদত্যাগের পর ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন গর্ডন ব্রাউন। যিনি পদে ছিলেন ২০১০ সাল পর্যন্ত। ব্রাউনই ছিলেন লেবার পার্টির ষষ্ঠ ও সবশেষ প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪ সালে কেইর স্টার্মারের হাত ধরে আবারও ঘুরে দাঁড়াল দলটি। একের পর এক নির্বাচনে দল যখন ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি তখনই হাল ধরেছিলেন স্টার্মার। ২০২০ সালে লেবার পার্টির দায়িত্ব নিয়ে চার বছর পর প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েই করলেন বাজিমাত।
১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া লেবার পার্টির ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। ঐতিহ্যবাহী দলটি ১৯২২ সালের পর থেকেই হয় সরকার গঠন করেছে নয় সামলেছে প্রধান বিরোধী দলের দায়িত্ব।
১৯২৩ সালে র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড লেবার পার্টি থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এরপর দলটি থেকে ক্লেমেন্ট এটলি, হ্যারল্ড উইলসন, জেমস ক্যালাহানও পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রিত্বের স্বাদ। সবকিছু ঠিক থাকলে স্টার্মার হবেন লেবার পার্টির সপ্তম প্রধানমন্ত্রী।