Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

গবেষণা প্রতিবেদন

২০৩০ সালের মধ্যে অলস হবে ৬০ ভাগ ভারতীয়

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

২০৩০ সালের মধ্যে অলস হবে ৬০ ভাগ ভারতীয়

২০৩০ সালের মধ্যেই অলস হয়ে যাবে ৬০ শতাংশ ভারতীয়। ভারতীয়দের নিয়ে এই চমকপ্রদ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে গ্লোবাল হেল্থ ম্যাগাজিন ল্যানসেট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় না হওয়ার কারণে দিন দিন অলস মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এ সংখ্যা ভারতেও তুমুল হারে বাড়ছে। ফলে আগামী ছয় বছরের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভারতীয় অলস হবে জানিয়েছেন গবেষকরা। 

রিপোর্ট অনুসারে, প্রায় ৫০ শতাংশ ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্ক এতটাই অলস হয়ে উঠেছে যে, তারা দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শারীরিক শ্রমও করে না। এর মধ্যে ভারতীয় নারীদের সংখ্যা প্রায় ৫৭ শতাংশ, যারা শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় নয়। একই সময়ে পুরুষদের মধ্যে এই হার ৪২ শতাংশ। শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় না থাকার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। ভারতেও এই সংখ্যা প্রায় একই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় না হওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। উচ্চ আয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিকভাবে সক্রিয় না হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা শারীরিকভাবে সক্রিয় নয়। 

গবেষকরা এমন প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন যারা বিশ্বব্যাপী শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় নয়। গবেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের এক-তৃতীয়াংশ (৩১ দশমিক ৩ শতাংশ) ন্যূনতম শারীরিক শ্রমও করে না। তারা আরও বলছেন, যারা পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার শারীরিক পরিশ্রম বা সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ উচ্চ তীব্রতার শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। 

গবেষণা অনুসারে, ২০১০ সালে শারীরিকভাবে সক্রিয় নয় এমন প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে এটা ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০০০ সালে ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ২২ শতাংশ ন্যূনতম প্রয়োজনীয় শারীরিক কার্যকলাপও করেনি। ২০১০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৩৪ শতাংশ হয়। ২০২২ সালে এ ধরনের লোকের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। যদি ভারতে শারীরিক পরিশ্রম করে না এমন লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে এ ধরনের লোকের সংখ্যা ৬০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। 

গবেষকরা বলেছেন, তারা ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের ঝুঁকি অনুমান করতে জনসংখ্যাভিত্তিক সমীক্ষায় প্রাপ্তবয়স্কদের (কমপক্ষে ১৮ বছর) শারীরিক কার্যকলাপের ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, বিশ্বব্যাপী ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার বাড়ছে। মানুষ শারীরিকভাবে কম সক্রিয় হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। 

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ ইন্ডিয়া ডায়াবেটিসের একটি গবেষণা দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই হিসাবে, ২০২১ সালে ভারতে ১০ দশমিক ১ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক পাঁচ কোটি। এই সমীক্ষা অনুসারে, আনুমানিক ২৪ দশমিক চার কোটি মানুষ স্থূলতার শিকার। যেখানে ১৮ দশমিক পাঁচ কোটি মানুষ উচ্চ কোলস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম