হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য শুক্রবার ভোট দিয়েছেন ইরানিরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মাত্র চার প্রার্থী।
শুক্রবার দেশটিতে স্থানীয় সময় সকাল আটটায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ছয়টায়। তবে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আরো দুই ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়। তবুও তেমন ভোট পড়েনি। এরপর আরো দুই দফায় দুই ঘণ্টা করে বাড়ানো হয় ভোটের সময়সীমা। এতে রাত বারোটা পর্যন্ত চলে ভোট।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, এ নির্বাচনে গত ৪৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪০ শতাংশ ভোটার।
১৯৭৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি ছিল এ নির্বাচনে। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, ২৪.৫ মিলিয়ন ব্যালট গণনায় দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জলিলি। সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ১০.৪ মিলিয়নের বেশি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯.৪ মিলিয়ন ভোট।
কেউ-ই ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় আগামী ৫ জুলাই ফের লড়াই হবে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে। সেদিন যেকোনো একজনকে বেছে নেবেন ইরানের জনগণ।
নির্বাচনে সাইদ জালিলিকে সমর্থন দিচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
এর আগে তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি ও রাইসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির-হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ান পারমাণবিক চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করে পশ্চিমের কাছ থেকে আসা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কও স্বাভাবিক করতে চান তিনি।