গঙ্গা চুক্তি নিয়ে মমতার অভিযোগ নাকচ করল দিল্লি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ এনেছেন, সেটি নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, মমতার অভিযোগ সত্য নয়।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মমতা অভিযোগ তুলেন, গঙ্গা চুক্তি পুনর্নবায়নের বিষয়ে কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেনি। এ বিষয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, মমতার এ দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি ও আপত্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে নবায়ন করার কথা। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গসহ সব অংশীদারকে রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও নিয়মিতভাবে সেই কমিটির বৈঠকে অংশ নিচ্ছে।
জয়সওয়াল বলেন, গত ৫ এপ্রিলও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিয়েছে। খাদ্য ও শিল্পের জন্য পানির বিষয়টি ২০২৬ সালের পরেও চুক্তিতে রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার চিঠি পাঠিয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ওই প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে গঙ্গা চুক্তির নবায়ন প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। ৩০ বছরের ওই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হচ্ছে। চুক্তি নবায়ন বিবেচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে কারিগরি একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এ সংক্রান্ত ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দিল।
এ বিষয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটাও জানিয়েছে যে, ২০২৬ সালে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তাদের সুপেয় পানি ও শিল্পের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা থাকবে।