কেনিয়ায় পার্লামেন্টে হামলা, পুলিশের গুলিতে নিহত ৫
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:০২ পিএম
কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে মঙ্গলবার ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। এরপর পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের চালানো গুলিতে এ পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।
রাজধানী নাইরোবিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্যে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। এরপর আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন ভবনটিতে। পার্লামেন্ট ভবন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ ফিরে এসে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ছোড়ে। তাতে কাজ না হওয়ায় গুলি ছোড়ে পুলিশ।
এদিকে দেশটির গভর্নর হাউজে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান রিচার্ড এনগুমো নামের এক চিকিৎসক।
পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করা বিক্ষোভকারী ডেভিস তাফারি রয়টার্সকে বলেন, আমরা পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ চাই। তখন আমাদের নতুন সরকার হবে।
কাঁদানে গ্যাস এবং গুলির মাধ্যমে পুলিশ শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে আইনপ্রণেতাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আইনটি অনুমোদিত হয়েছে পার্লামেন্টে। আইনপ্রণেতাদের তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনা শেষে স্বাক্ষরের জন্য বিলটি পাঠানো হবে প্রেসিডেন্টের কাছে। কোনো অভিযোগ থাকলে বিলটি পার্লামেন্টে ফেরত পাঠাতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।
কয়েকদিন আগে দেশটির পার্লামেন্টে নতুন একটি আর্থিক বিল পাস করা হয়। জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে জর্জরিত দেশটির মানুষ নতুন এই কর বৃদ্ধির আইন বাতিলের দাবিতে শুরু করে আন্দোলন। তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। আইনটির প্রতিবাদে নাইরোবি ছাড়াও কেনিয়ার আরও কয়েকটি শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
কেনিয়ার ঋণের বোঝা হালকা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২৭০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যে নতুন আর্থিক বিল করতে চায় সরকার। দেশটির বার্ষিক রাজস্বের ৩৭ শতাংশই চলে যায় ঋণ শোধ করতে।
রুটি, রান্নার তেল, গাড়ির মালিকানা এবং আর্থিক লেনদেনের ওপর প্রস্তাবিত নতুন কর বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে কিছু ছাড় দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের সন্তুষ্ট করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। তারা চায়, পুরো বিলটিই বাতিল করা হোক।