ক্রিমিয়ায় হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: রাশিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত এবং ১৫১ জন আহত হয়েছেন।
রোববারের এ হামলায় ইউক্রেন সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং এই হামলা ও হতাহতের জন্য রুশ কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছে।
এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে বলেছে, ইউক্রেন যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) এবং ক্লাস্টার ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত। এর মধ্যে চারটিই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে গুলি করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে রুশ বাহিনী। আর পঞ্চম ক্ষেপণাস্ত্রটি গোলাবারুদসহ মধ্য-আকাশে বিস্ফোরিত হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, লোকজন একটি সৈকত থেকে দৌড়ে পালাচ্ছেন এবং কিছু লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রুশ সমর্থিত ক্রিমিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেভাস্তোপল শহরের উত্তর দিকের একটি সৈকতের কাছে দুপুরের পরেই ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পড়েছিল। ওই সময় স্থানীয়রা সেখানে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে মগ্ন ছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি রাশিয়ান জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরাই তাদের গুপ্তচর উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট স্থানাঙ্ক নির্ধারণ করেছে। যার অর্থ হলো- ওয়াশিংটনই এতে সরাসরি দায়ী।
তাদের দাবি, ‘সেভাস্তোপলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে চালানো এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায়ভার সর্বোপরি ওয়াশিংটনকেই বহন করতে হবে। যেহেতু তারাই ইউক্রেনকে এ অস্ত্রগুলো সরবরাহ করেছে এবং কিয়েভ সরকার তার ভূখণ্ড থেকে এ হামলা চালিয়েছে।’
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে এবং এখন কৃষ্ণসাগরসংলগ্ন উপদ্বীপটিকে নিজ ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই দেখে। যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখনো একে ইউক্রেনের অংশ বলে মনে করে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কয়েক হাজার সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনে অভিযান চালান। যেটি মূলত তিনি তার শত্রুপক্ষ ও আক্রমণাত্মক পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখেন। তবে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা একে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচের আগ্রাসন বলে দাবি করছে।
প্রায় ২৬ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের শুরুতে ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে। যেগুলো ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরবর্তী লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স