আদালতে জামিন চেয়েও পেলেন না আবগারি মামলায় অভিযুক্ত ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির একটি আদালতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপি ঘুস চাওয়ার অভিযোগ করেছে ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (ইডি)। শুধু তা–ই নয়, সংস্থাটি দাবি করেছে কেজরিওয়াল যে ঘুস চেয়েছেন—তার প্রমাণও আছে।
ইডির এমন দাবির পরই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন রাউস অ্যাভিনিউতে অবস্থিত দিল্লির আদালত। এর ফলে আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে।
আবগারি মামলায় ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে অবশ্য ভোটের মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন। সাত দফায় ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর ১ জুন তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। পরে তিনি আবারও আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে ফিরে গিয়েছিলেন।
বুধবার কেজরিওয়ালের কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকায় জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালতে ইডি দাবি করেছে, আবগারি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী যে ১০০ কোটি রুপি ঘুস চেয়েছিলেন, তা সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকি সেই অর্থ কেজরিওয়াল যে নিজ দলের পেছনে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন, সেই তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে আছে।
এদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, অর্থ লেনদেনের পক্ষে প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো এমন ব্যক্তিরা করেছেন, যারা নিজেরাই এ মামলায় অভিযুক্ত।
কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা আরও দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছিলেন, তাদের জামিন পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ইডির আইনজীবী কেজরিওয়ালের জামিনের আরজির বিরোধিতা করে যুক্তি দেন—অর্থ তছরুপের বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তদন্ত করে দেখতে হবে যে, এতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কতটা ভূমিকা ছিল। দুই পক্ষের যুক্তি পাল্টা যুক্তি শুনে কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর নির্দেশ দেন আদালত।