মস্কো-পিয়ংইয়ং ‘গভীর সম্পর্ক’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০১:১১ পিএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন। দীর্ঘ ২৪ বছর পর মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং গেলেন পুতিন। পুতিনের এ সফর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বিশ্ব রাজনীতিতেও দারুণ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এরইমধ্যে মস্কো-পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যকার ‘গভীর সম্পর্ক’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘আমরা রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফর নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমরা উদ্বিগ্ন এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হওয়া নিয়ে। শুধু ইউক্রেনের জনগণের ওপর এর প্রভাবের কারণে নয়, কারণ আমরা জানি উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনও ইউক্রেনীয় লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আসল ব্যাপার হচ্ছে- এখানে এমন কিছু পারস্পরিক সম্পর্ক থাকতে পারে, যা কোরিয় উপদ্বীপের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করতে পারে।’
‘আমরা এখনই বিষয়টির সবগুলো দিক অবলোকন করিনি, তবে আমরা অবশ্যই এটি অতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করব,’ যোগ করেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিন মূলত অস্ত্র সহায়তা পেতেই উত্তর কোরিয়ায় গেছেন, কারণ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে মস্কোর জন্য অন্যত্র তা পাওয়া কঠিন।
কিরবি বলেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, চলতি বছরের মার্চে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় বসা পুতিন উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছেন এবং সামনের দিনে হয়তো তিনি কিছুটা আক্রমণাত্মক হতে যাচ্ছেন। পুতিন এটিই করতে যাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।
এর আগে ক্রেমলিন জানায় যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আমন্ত্রণে ১৮ ও ১৯ জুন- দুই দিনের সৌজন্য সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পিয়ংইয়ং যাচ্ছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ-ও এই সফরের কথা প্রকাশ করেছে। পুতিন এরপর দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনামও যাবেন।
পুতিন সর্বশেষ ২০০০ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর উ. কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। তখন উ. কোরিয়ার নেতা ছিলেন বর্তমান নেতা কিম জং উনের পিতা কিম জং ইল।
গত বছর সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে কিম জং উন যখন পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন, তখনই তিনি পুতিনকে কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সূত্র- আনাদোলু এজেন্সি।