‘শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের’ মধ্য দিয়ে শেষ হলো হজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার কাছে মিনায় ‘শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের’ মধ্য দিয়ে আজ রোববার চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন হাজিরা। এরপর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন তারা।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপের’ জন্য শনিবার রাতে হাজিরা পাথর সংগ্রহ করেন এবং মুজদালিফায় আকাশের নিচে রাতযাপন করেন। সেখানে তারা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেই খোলা জায়গায় বসে প্রার্থনা করেছেন।
এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে হজ পালন করতে গেছেন ১৮ লাখ মুসলমান। মক্কার স্থানীয় সময় আজ ভোর থেকেই মক্কা আল-মুকাররামার বাইরে অবস্থিত মিনা উপত্যকায় শয়তানের প্রতীকী তিনটি কংক্রিটের দেয়ালের প্রতিটিতে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ শুরু করেন হাজিরা। ইসলামের ধর্মীয় এ রীতিটি হযরত ইব্রাহিমের (আঃ) তিনটি স্থানে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বলা হয়, সেখানে শয়তান তাকে তার পুত্রকে কুরবানি দেওয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিল।
এর আগে পাথর মারার রীতি পালন করতে গিয়ে মিনায় একাধিকবার পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালে সেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ পদদলনের ঘটনায় ২৩০০ হাজি প্রাণ হারান। এরপর থেকে হজের সময় মিনায় হাজিদের অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে স্থানটি নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে সৌদি সরকার।