‘বেঁচে থাকলে ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাব’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
ইদ্দত মামলায় দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির করা আপিলের শুনানি স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ আফজাল মাজোকা।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকলে ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব। যদি অন্য পক্ষ উপস্থিত না হয়, তবুও আমি সিদ্ধান্ত নেব।’
শুক্রবার সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় আদালতে খালিদ ইউসুফ চৌধুরী এবং উসমান রিয়াজ গুলসহ পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বুশরা বিবির আইনি দল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের লিখিত আদেশ জমা দেন পিটিআইয়ের আইনজীবীরা।
এসময় উসমান রিয়াজ গুল আদালতকে পরের দিন (শুক্রবার) শুনানির জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের আপনি আজও পাবেন, চাইলে আজও আমাদের কথা শুনতে পারেন।
জবাবে বিচারক আফজাল মাজোকা বলেন, আমি গতকাল রাতেই উচ্চ আদালতের রায় ডাউনলোড করে পড়ে নিয়েছি। সেখানে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে সাজা স্থগিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
বিচারক মাজোকা বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) এটি সম্ভব নয়; আপনারা আগামী শুক্রবারের জন্য তারিখ নির্ধারণ করুন। আমি বেঁচে থাকলে ১০ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। যদি অন্য পক্ষ উপস্থিত নাও হয়, আপনাদের কথা শুনেই আমি সিদ্ধান্ত নেব’।
‘আমি আদেশ লিখছি। নিশ্চয়ই বড় কিছু হবে; ইতিহাস হয়ে থাকবে’, এই বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন বিচারক মাজোকা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ইদ্দত মামলায় দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে তাদের আবেদনের বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে নিম্ন আদালতকে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাজা চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করারও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ইদ্দতের সময় পূর্ণ না করে শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার দায়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বসানো একটি অস্থায়ী আদালত।
বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকার করা মামলায় ইমরান ও বুশরাকে ওই সাজা দেন আদালত।
মামলায় মানেকা অভিযোগ করেছিলেন, তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নির্দিষ্ট সময় পার (ইদ্দত) না হতেই ইমরান খানকে বিয়ে করেন বুশরা বিবি, যা স্পষ্টতই শরিয়াহ আইনের লঙ্ঘন।