হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর কারণে ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷চলতি মাসের ২৮ জুন ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রার্থী হতে ৮০ জন আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ছয়জনের আবেদন অনুমোদন করেছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল৷বাদ পড়েছেন আলোচিত প্রার্থী ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনাজাদ।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার মূল দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব হচ্ছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল বা অভিভাবক পরিষদের।
ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। পার্লামেন্টে পাশ করা সব বিলে এই কাউন্সিলের অনুমোদন লাগে। চাইলে তারা যে কোনো বিলে ভেটো দিতে পারে। পার্লামেন্ট বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন বা হবেন না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এই কাউন্সিলের হাতে।
১২ সদস্যের গার্ডিয়ান কাউন্সিলে থাকেন ছয়জন ধর্মীয় তাত্ত্বিক যাদের নিয়োগ করেন শীর্ষ নেতা। বাকি ছয়জন হলেন আইন বিশেষজ্ঞ যাদের নাম প্রস্তাব করে আইন বিভাগ যদিও এই ছয়জনের চূড়ান্ত নিয়োগ পেতে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগে।
ছয় বছরের জন্য তারা নিয়োগ পান। বর্তমান গার্ডিয়ান কাউন্সিল কট্টরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে। এমনকি কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান আয়াতুল্লাহ আহমাদ জান্নাতি নিজেও একজন কট্টরপন্থী হিসাবে পরিচিত।
গার্ডিয়ান কাউন্সিলের ১২ জনের মধ্যে ছয়জনকে নির্বাচন করে সংসদ৷ বাকি ছয়জনকে নিয়োগ দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি৷ ফলে ইরানে চালু থাকা ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা প্রার্থীদের মধ্য থেকেই একজনকে বেছে নিতে হয় ভোটারদের৷
রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গার্ডিয়ান কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় অতীতে এই কাউন্সিলকে অগণতান্ত্রিক বলে সমালোচনা করা হয়েছে৷
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা, বাদ আহমাদিনেজাদ