রোববার সকালে মোদি প্রথমে যান রাজঘাটে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকে তিনি যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর স্মৃতিসৌধ ‘সদৈব অটল’-এ। এরপর জাতীয় যুদ্ধ স্মারক। প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন প্রধানকে পাশে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া বীর সেনানীদের।
সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাষ্ট্রপতি ভবন সেজে উঠেছে। নতুন মন্ত্রিসভায় কারা যোগ দিচ্ছেন, সেই তালিকা চূড়ান্ত করতে সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বিজেপি সংসদ সদস্যদের এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রণালয়ের একটিও শরিকদের ছাড়ছে না। কোন দলের কারা থাকছেন, পুরোনোদের কারা মন্ত্রিসভায় থাকছেন, সেসব বিষয়ে এসব সূত্র থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠানে প্রায় ৯ হাজার অতিথি অভ্যাগতের সঙ্গে উপস্থিত থাকছেন প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিচেলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ। দুজনেই গত শনিবার দিল্লি পৌঁছেছেন। এছাড়ার থাকছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ কুমার জগন্নাথ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিজেপি নিজেদের হাতে রাখবে। শনিবার অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, সভাপতি জে পি নাড্ডা ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠকে ঠিক হয়, টিডিপি ও জেডিইউকে একটি করে পূর্ণমন্ত্রী ও একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে। টিডিপিকে লোকসভার ডেপুটি স্পিকারের পদও দেওয়া যেতে পারে। এই দুই বড় শরিক ছাড়া অন্য শরিকদেরও প্রত্যেককে একজন করে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হবে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব শরিকদের বলেছেন, মন্ত্রণালয় নিয়ে তারা যেন অযৌক্তিক দাবি না করেন।
পুরোনোদের মধ্যে থাকছেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নীতীন গড়কড়ি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অনুরাগ ঠাকুর। তারা ছাড়া যাদের জায়গা পাওয়ার কথা, তাদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবার সংসদ সদস্য হওয়া শিবরাজ সিং চৌহান, হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, আসামের নেতা সর্বানন্দ সোনোয়াল, অরুণাচল প্রদেশের কিরেন রিজিজুরা। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে সদস্য ছিলেন মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর। এবারও তিনি মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন।
শরিকদের মধ্যে মন্ত্রী হতে চলেছেন জেডিএস নেতা কুমারস্বামী, এলজিপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান, ‘হাম’-এর জিতেন রাম মাঞ্ঝি, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী ও আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল। অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে জল্পনা চলছে।
টিডিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের দুই সংসদ সদস্য চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি ও রাম মোহন নাইডু মন্ত্রী হবেন। জেডিইউ মন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেছে দলের সাবেক সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং (লালন) ও ‘ভারতরত্ন’ কর্পূরী ঠাকুরের ছেলে রাজ্যসভার সদস্য রামনাত ঠাকুরকে।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানের পর নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিদেশি অতিথিদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নৈশভোজের আপ্যায়ন করবেন।