গাজায় বাড়ছে মানবিক বিপর্যয়, বেকারত্ব প্রায় ৮০ শতাংশ: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
ধ্বংসযজ্ঞ গাজায় হেঁটে যাচ্ছেন এক কর্মী। ছবি সংগৃহীত
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে গাজায়। একদিকে বাস্তুহারা মানুষ, অন্যদিকে চরম বেকারত্ব। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে গাজা। চলমান সংঘাতে ওই অঞ্চলে বেকারত্বের হার প্রায় ৮০ শতাংশ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর: দ্য মিডল ইস্ট আইয়ের।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে আইএলও জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার প্রায় ৩২ শতাংশ। আর পুরো ফিলিস্তিনে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ। বেকারত্বের সঙ্গে তলানিতে গিয়ে ঠেকছে জিডিপিও। আইএলওর হিসাবে, গত অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনে জিডিপি কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে গাজা উপত্যকায় এই ৮৩ দশমিক ৫ এবং পশ্চিম তীরে জিডিপি কমার হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশ।
সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত এই চলমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এই উচ্চ বেকারত্বের হার দিয়ে কল্পনা করুন, মানুষ নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে না। এটি তাদের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে। তাদের হাতে অর্থ থাকলেও সেখানের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য নেই কোনো হাসপাতাল।’
শুধু তাই নয়, যারা বর্তমানে কাজ করছে তাদের মধ্যে কাজ হারানোর বড় সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম তীরে নিয়োজিত অন্তত ৫১ শতাংশ কর্মীর কর্মঘণ্টা কমেছে। একই সঙ্গে ৬২ শতাংশেরও বেশি কর্মীর পারিশ্রমিক কমেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৭৩১ জন নিহত এবং ৮৩ হাজার ৫৩০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য দপ্তর।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন। একই সঙ্গে হামাসের কাছে এখনো কয়েক ডজন ইসরাইলি বন্দি আটক রয়েছে।