ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরুর পর থেকেই এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। এনডিএ’র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে ইন্ডিয়া। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এই নির্বাচনের প্রচারণার একেবারে শুরু থেকেই ৪০০ আসন পার করার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। যদিও ভোট গণনা শুরুর পর সময় যতই গড়িয়েছে, বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টি ততই ফিকে হয়ে এসেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন এই দলটি এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মূলত প্রাথমিক ভোট গণনায় মোদির ভূমিধস জয়ের আভাস মেলেনি। যদিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট কম-বেশি ২৯০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এক দশক পরে আবার একদলীয় শাসনের ইতি হতে চলেছে ভারতে। সেই সঙ্গে অষ্টাদশ লোকসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতার পদ। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভোটগণনার ঘোষিত ফলাফল এবং প্রবণতা এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ভারতে এবারের নির্বাচনে যা কিছু নতুন
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, তৃতীয় বারের জন্য নরেন্দ্র মোদির হাতেই থাকছে ভারত। তবে ভোটগণনার প্রবণতা বলছে, ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার আর সংসদের নিম্নকক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না তার দল বিজেপি।
‘৪০০ পার’ দূরের কথা, আড়াইশো পার করাও কঠিন হতে চলেছে পদ্মশিবিরের। ৫৪৫ আসনের( দু’টি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি। প্রবণতা অনুযায়ী বিজেপির দৌড় আড়াইশোর আগেই থেমে যেতে পারে!
অর্থাৎ, কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য টিম মোদিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ-র দুই শরিক, চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর উপর। ঘটনাচক্রে, অতীতে ওই দুই নেতারই একাধিক বার এনডিএ ত্যাগের এবং প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস রয়েছে।
ভারতের ইতিহাসে মোদিই হতে চলেছেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি পর পর তিন বার ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জওহরলাল নেহরুর মতো পর পর তিন বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখলের রেকর্ড করা সম্ভবত হচ্ছে না তার। যদিও মোদি নিজে একাধিকবার দাবি করেছিলেন, এককভাবে বিজেপি ৩৭০ আসনে জিতবে।