Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা: আড়াই কোটি টাকা হারান ইঞ্জিনিয়ার

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা: আড়াই কোটি টাকা হারান ইঞ্জিনিয়ার

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার শিকার হয়ে আড়াই কোটি টাকা হারালেন ইঞ্জিনিয়ার ও তার ভাই। 

ভারতের পুনেতে বসবাস করা ৫৩ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার ও তার ভাইকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে অনলাইন শেয়ার ট্রেডিংয়ে বিপুল আর্থিক লাভ দেওয়ার টোপ দেয় অপরাধীরা।

পুনের চারহোলি বুদ্রুকের বাসিন্দা দুই ভাই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে হারিয়েছেন ২.৪৫ কোটি টাকা। অনেক টাকা আয় করার লোভ সামলাতে না পেরে অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এই বিপদে পড়েন তারা। পুলিশে এফআইআর দায়ের করে তারা জানিয়েছেন পুরো ঘটনা। 

অভিযোগ অনলাইন শেয়ার ট্রেডিং এ বিপুল অর্থ লাভ করার আশা দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে এক সাইবার অপরাধী একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে। সেখান থেকেই তারা ২.৪৫ কোটা টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ।

প্রতারকদের নির্দেশে শেয়ার ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলেন ওই দুই ভাই। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যে নির্দেশ আসত, সেই নির্দেশ শুনে তারা শেয়ার কিনতে শুরু করতেন। পেশায় ওই দুই ভাই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

পুলিশ বলছে, সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের নম্বর মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন গ্রুপে যোগ করে দেয় প্রতারকরা। সেই গ্রুপে শেয়ার ট্রেডিং থেকে লাভ ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হতো।

পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর বলছেন, ‘সেটা ছিল স্ক্রিন সফ্টওয়্যার, সেটাকে কাটছাঁট করতে পারত অপরাধীরা।’ প্রাথমিকভাবে স্ক্রিন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে অপরাধীরা শেয়ার কিনত। পুলিশ বলছে, ওই স্ক্রিন সফ্টওয়্যার তাদের ভালো রকমের লাভ দেখাত। পরে অপরাধীরা আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন, যাতে লাভ বেশি হয়। ফলে বেশি দামের শেয়ার কেনায় উদ্বুদ্ধ করা হয় তাদের।

পুলিশ বলছে, ‘এরপর অপরাধীরা ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পাঠান, আর ওই ব্যক্তি তাতে টাকা দিয়েও দেন।’

এক ভাই ১.৬৮ কোটি টাকা ওই অ্যাকাউন্টে দেওয়ার পর অপর ভাই ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে তাদের ভুয়াভাবে বোঝানো হয় যে, তারা ৮ কোটি লাভ করেছেন শেয়ার ট্রেডিং ব্যবসা থেকে।

তারপর মার্চ মাসে সেই টাকা তুলে নিতে চান এক ভাই। তখন প্রতারকরা দাবি করেন এসইবিআইয়ের নজর রয়েছে তার অ্যকাউন্টে। ফলে তিনি এমনটা করতে পারবেন না। এজেন্সি তার অ্যাকাউন্ট লক করে দিয়েছে। তারপর গিয়ে অভিযোগকারীরা বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন।

পুলিশ বলছে, কোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেওয়ার আগে তার নাম ও তথ্য দেখে নিতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম