প্রতীকী ছবি
১৩ বছরের এক ছেলের সঙ্গে পাঁচ বছরের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। বাল্যবিয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাঞ্জাবে ১৬ বছর বয়সের আগে বিয়ে করা অবৈধ। তবুও প্রদেশটিতে বাল্যবিয়ে প্রচলিত রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের শেখুপুরার কোট নাজির এলাকায় ১৩ বছরের এক ছেলের সঙ্গে পাঁচ বছরের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় বাল্যবিয়ে আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই শিশুকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আসতে দেখেই সন্দেহভাজনরা পালিয়ে যায়। বিয়েতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বাবা, দাদা উপস্থিত ছিলেন। আরশাদ নামে একজন সন্দেহভাজন সব ব্যবস্থা করেছিলেন। উমর হায়াত নামে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির মাধ্যমে নিকাহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজনরা ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ (সংশোধন) আইন ২০১৫'-এর অধীনে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে অপরাধ করেছে।
২০১৫ সালে পাঞ্জাবে বিয়ের আইনি বয়স ১৬ বছর রাখে। কিন্তু প্রদেশটি বাল্যবিয়ে নিরোধ অধ্যাদেশ ১৯৭১ সংশোধন করে এবং পাঞ্জাব বিয়ে নিরোধ আইন ২০১৫ পাশ করায় আইন লঙ্ঘনের জন্য কারাদণ্ড ও জরিমানা বৃদ্ধি করে।