Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘হামাসকে ধ্বংস করতে চাওয়া বাগাড়ম্বর, জিততে পারবে না ইসরাইল’

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৫:০২ পিএম

‘হামাসকে ধ্বংস করতে চাওয়া বাগাড়ম্বর, জিততে পারবে না ইসরাইল’

ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল মাতান ভিলাই ও মোসাদের সাবেক প্রধান দানি ইয়াতম ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান দানি ইয়াতম বলেছেন, ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে এবং গাজা যেমন আছে তেমনই থাকবে। এই গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, হামাস প্রতিনিয়ত সাফল্য অর্জন করছে। এই অবস্থায় তিনি ইসরাইলি অবস্থান থেকে কিছুটা ছাড় দিয়ে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যা যা প্রয়োজন সবকিছু করতে প্রস্তুত। 

ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১৩কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন দানি ইয়াতম। চ্যানেলটির বরাত দিয়ে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে। 

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। সোজা কথায় বললে, যে চূড়ান্ত বিজয়ের কথা ইসরাইল বলে, তা অর্জিত হবে না। একই সঙ্গে, গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। 

জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ইসরাইল সরকারের সর্বোচ্চ প্রাধান্য হওয়া উচিত উল্লেখ করে দানি ইয়াতম বলেন, এটি ছাড়া ইসরাইল সরকারকে যুদ্ধ বন্ধ করতে আর কোনো বিষয়ই সেই অর্থে চাপ দিতে পারবে না। 

দানি ইয়াতম বলেন, এমনকি যদি ইসরাইলি বাহিনী আরও কয়েক মাস গাজায় অবস্থান করে এর স্থলভাগ ও টানেলগুলোতে যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তবু তারা হামাস যোদ্ধাদের বেশির ভাগকেও হত্যা করতে সক্ষম হবে না। এমনকি ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী গাজায় হামাসের অবকাঠামো বা লোকবলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধ্বংস করতেও ব্যর্থ হবে।’ 

মোসাদের সাবেক এই প্রধান বলেন, হামাস আজ থেকে ২৩৩ দিন আগে অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড পরিচালনা করার পরও তেল আবিব লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে। আমি এতে বিস্মিত হইনি। কারণ সবাই জানে যে, হামাস এখনো এ ধরনের রকেট হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে। একই বিষয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল মাতান ভিলাই বলেন, হামাস ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে নিশ্চিত করেছে যে, তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, হামাসকে ধ্বংস করার আলোচনা আসলে ফাঁকা বুলি বা বাগাড়ম্বর, যা ইসরাইলে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম