মিম শেয়ারের জন্য ম্যানেজার খুঁজছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রীতিমতো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। জো বাইডেনের নির্বাচন প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। তরুণ মার্কিন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আপনি কী একজন মার্কিন নাগরিক ও মিম ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতে চান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনাকেই খুঁজছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সহযোগীরা। আর এই কাজের জন্য আপনাকে কষ্ট করে ওয়াশিংটনে যেতে হবে না। বাইডেনের নিজ অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়ারে বসেই এ কাজ করতে পারবেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বাইডেনের সেই ম্যানেজার বিভিন্ন মিম পেজ ও কনটেন্ট পেজে প্রচারণার কাজ চালাবে। কাজের বিবরণ হিসাবে বলা হয়েছে, মিম ম্যানেজারকে পডকাস্টার, ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি এবং বড় বড় মিম পেজের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা এবং তা বজায় রাখতে হবে।
এছাড়াও প্রার্থীর অবশ্যই ভিডিও, গণমাধ্যম অথবা বিনোদনজগতে ন্যূনতম কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে তাদের ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এ কাজের জন্য ম্যানেজারকে বার্ষিক ৮৫ হাজার ডলার বেতনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইন দুনিয়ায় মিম পেজগুলো অবিশ্বাস্য রকমের জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের সাইটগুলোতে প্রতিদিন লাখ লাখ ভিউ হয় মিম পেজগুলোতে। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এই মিম পেজগুলোর আশ্রয় নিয়ে থাকে।
তরুণ ভোটারদের একাংশ গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্ট। অনেকে আবার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাইডেনের কার্যকলাপ নিয়ে শঙ্কিত। ফলে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার জন্যই এ পন্থা অবলম্বন করছে বাইডেনের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে ২০২০ সালে প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার নির্বাচনি প্রচার কৌশল হিসাবে মিম পেজের আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তার পক্ষে উকালতি করা পেজটির নাম ছিল ফাকজেরি। যার প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ ফলোয়ার ছিল।