স্বশাসিত তাইওয়ানকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী আচরণের’ জন্য ‘কঠিন শাস্তি’ দিতে দ্বীপ দেশটির চারপাশে বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।
তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে শপথ নেওয়ার পর তার দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণের নিন্দা জানাতে চীনের বার্তা হিসেবে এই সামরিক মহড়া শুরু হলো বলে মনে করা হচ্ছে। চীন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের ভাষণকে ‘স্বাধীনতার দায় স্বীকার’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীন তাইওয়ানকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপটিকে নিজেদের শাসনাধীনে আনার প্রত্যয় থেকে পিছিয়ে আসছে না। তাই শক্তি প্রয়োগের নমুনা হিসেবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই সামরিক মহড়ায় তাইওয়ানের চারপাশে টহল দিচ্ছে চীনের যুদ্ধবিমান ও সামরিক নৌযানগুলো।
চীনের সামরিক বাহিনী বলছে, এই মহড়ার মাধ্যমে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ করার সামর্থ্যকে পরীক্ষামূলকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
অন্যদিকে, তাইওয়ান চীনের এই ঘোষণার পরপরই তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘স্বাধীনতা রক্ষায়’ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা চীনের অযৌক্তিক উসকানির নিন্দা করছে এবং এই ধরনের তৎপরতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করবে।
তাইওয়ানের সরকারি নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘চীন প্রজাতন্ত্রের (তাইওয়ান) স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা জল, স্থল ও আকাশ পথে সাড়া দিতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে মোতায়েন করেছি।’
মঙ্গলবার চীন বেশ শক্তভাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় এবং হুঁশিয়ার করে দেয়। প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে ওই উদ্বোধনী ভাষণে তাইওয়ানের ‘গৌরবোজ্জ্বল’ গণতন্ত্রের নতুন যুগকে স্বাগত জানান।
এ ভাষণের প্রতিবাদে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাইওয়ানি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইতিহাসে লজ্জার আস্তকুঁড়ে স্থান পাবে। এর আগেও চীন লাই চিং-তেকে ‘বিপজ্জনক বিচ্চিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছিল, তিনি যুদ্ধ ডেকে আনবেন।