মালয়েশিয়ায় মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট শনাক্ত
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ একটি মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট শনাক্ত করেছে। যা বাংলাদেশী অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড এবং তারপর নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় আনার জন্য ২১,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত আদায় করেছে।
শনিবার দেশটির সিনার হারিয়ানে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল রুসলিন জুসোহ জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার, কুয়ালালামপুরে জালান সুলতান ইসমাইলের একটি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে সিন্ডিকেটটি শনাক্ত করা হয়।
পরিচালক বলেন, পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতরের গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭.০২ মিনিটের অভিযানে একটি গাড়িতে থাকা এক বাংলাদেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়, যে একটি পার্কিং এলাকা থেকে দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করেছিল।
রুসলিন বলেন, ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন পরিবহনকারী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে গাড়িতে থাকা অনথিভুক্ত দুই বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে।
গাড়ি থেকে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিওিতে একটি বাসভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাস ছাড়া আরও পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়।
রুসলিন বলেন, অভিযানকারী দল ১০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তিনটি মোবাইল ফোন, নগদ ৫০০ রিঙ্গিত এবং অভিবাসীদের পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পেরোডুয়া মাইভি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কাজ ছিল এখানে কর্মসংস্থান খুঁজছেন এমন নথিভুক্ত অভিবাসীদের আকাশপথে ভিয়েতনামে এবং তারপর স্থলপথে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া। তারপর থাইল্যান্ড থেকে নৌকায় করে তাদের কেলান্তানে আনা হয়। ট্রান্সপোর্টার তারপর তাদের কুয়ালালামপুরের বাসভবনে নিয়ে আসা হয়।
রুসলিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, সিন্ডিকেটটি দুই মাস ধরে কাজ করছে। পরিবহণকারীকে ব্যক্তি পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী আইন ২০০৭-এর ধারা ২৬-এ এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে। আটক ২১ থেকে ৩৮ বছর বয়সী অভিবাসীদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এর অধীনে তদন্তের স্বার্থে আটকদের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।