চরম শঙ্কায় জলবায়ু বিজ্ঞানীরা
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
কাঠফাটা রোদ। চারদিকে খাঁ খাঁ অবস্থা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাপমাত্রার তীব্রতায় হাঁসফাঁস দেখা দিয়েছে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিকুলে। হিট স্ট্রোকে ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও।
জলবায়ুর এমন হঠাৎ রদবদলে দেখা দিচ্ছে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া বিপর্যয়ের এমন সময়ে আরও একটি দুঃসংবাদ দিলেন বিজ্ঞানীরা। এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমপক্ষে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে-এমনটাই শঙ্কা করছেন শীর্ষস্থানীয় শত শত জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। বৈশ্বিকভাবে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এটি পৃথিবীর জন্য মারাÍক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।
বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমাতে আন্তর্জাতিকভাবে প্যারিস চুক্তি করা হয়। সেই চুক্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বাক্ষর করে। চুক্তিটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা।
পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা। কিন্তু ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন চুক্তিটির শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে দেশগুলো। আন্তঃসরকার প্যানেলে (আইপিসিসি) ৮০ শতাংশ জলবায়ু বিজ্ঞানীরা ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক উত্তাপের পূর্বাভাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে মাত্র ৬% ভেবেছিল তাপমাত্রা নিচে রাখার বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমা পূরণ হবে। এ বিষয়ে তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেটা পেকল বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি।’
কিন্তু ইতিবাচক সাড়া দিয়ে অনেক বিজ্ঞানী বলছেন, ‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা যতই বাড়ুক, তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যুক্তরাজ্যের এক্সেটার ইউনিভার্সিটির পিটার কক্স বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হঠাৎ করে বিপজ্জনক হয়ে উঠবে না। এবং আমরা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলেও সবকিছু শেষ হয়ে যাবে না। আমরা চাইলে সেই অবস্থা থেকেও পরিবর্তন আনতে পারি।’
জাতিসংঘের কোপেনহেগেন জলবায়ু কেন্দ্রের হেনরি নিউফেল্ড বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের কাছে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রমের পর প্রয়োজনীয় সব সমাধান রয়েছে এবং আমরা আগামী ২০ বছরে সেগুলো বাস্তবায়ন করব। কিন্তু আমি আশঙ্কা করি যে আমাদের সেসব পদক্ষেপ খুব দ্রুত নেওয়া সম্ভব হবে না।’