কিমের ‘প্লেজার স্কোয়াডে’ ২৫ সুন্দরী, কী যোগ্যতায় নেওয়া হয় তাদের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
কিমের ‘প্লেজার স্কোয়াডে’ ২৫ সুন্দরী, কী যোগ্যতায় নেওয়া হয় তাদের
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই। কিছু দিন পর পরই তাকে নিয়ে নতুন নতুন বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশটি থেকে পালিয়ে আসা এক তরুণীর দেওয়ার তথ্যের জেরে এবার নতুন বিতর্কের মুখে কিম।
ডেইলি মিররের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা এক তরুণী ইওনমি পার্ক দেশটির নেতা কিম জং উন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। পার্ক দাবি করেছেন, কিম জং-উন তার ‘প্লেজার স্কোয়াড’ এর জন্য প্রতি বছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন।
তিনি দাবি করেছেন, ওই তরুণীদের চেহারা এবং রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়। তিনি আরও প্রকাশ করেছেন, তাকে কিমের ‘প্লেজার স্কোয়াড’ এর জন্য দুবার বাছাই করা হয়েছিল, কিন্তু তার পারিবারিক অবস্থার কারণে তাকে নির্বাচিত করা হয়নি।
পার্ক জানান, তারা প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করে এবং এমনকি তারা স্কুলেও যায় যাতে কোনো সুন্দরী মিস না হয়ে যায়। একবার সুন্দরী মেয়েদের খোঁজ পেলে তারা প্রথমেই তাদের পারিবারিক অবস্থা এবং তাদের রাজনৈতিক অবস্থা পরীক্ষা করে। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা বা দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্যান্য দেশে আত্মীয়-স্বজন আছে এমন কোনো মেয়েকে তারা তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়।
তিনি দাবি করেন, মেয়েরা একবার নির্বাচিত হলে তারা কুমারী কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। কঠোর পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া জুড়ে শুধু কিছু মেয়েকে পিয়ংইয়ং পাঠানো হয় যেখানে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য স্বৈরশাসকের ইচ্ছা পূরণ করা।
এই দলটিকে তিনটি স্বতন্ত্র ভাগে বিভক্ত করা হয়, একটি দলের কাজ ম্যাসেজ এবং অন্যটি গান ও নাচের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তৃতীয় দলের কাজ স্বৈরশাসক এবং অন্যান্য পুরুষদের যৌন ইচ্ছা পূরণ করা। স্বৈরশাসকের সেবা করার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়েদের নির্বাচন করা হলেও অন্যদের নিম্ন-পদস্থ জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের সন্তুষ্ট করার জন্য নিয়োগ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একবার স্কোয়াডের সদস্যরা ২০ বছরের মাঝামাঝি পৌঁছে গেলে তাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায়শই নেতার দেহরক্ষীদের বিয়ে করে নেয়।
পার্ক ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই ‘প্লেজার স্কোয়াড’ এর উৎপত্তি ১৯৭০-এর দশকের কিম জং-উনের বাবা, কিম জং-টু -এর যুগ থেকে। যিনি বিশ্বাস করতেন যে, ‘যৌন ঘনিষ্ঠতা তাকে অমরত্ব দেবে।’ তবে তিনি ২০১১ সালে ৭০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।