যুক্তরাষ্ট্রকে কি টেক্কা দেবে চীনের সর্বাধুনিক রণতরী?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
চীনের সর্বাধুনিক রণতরী ফুজিয়ান প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পানি অপসারণ করতে পারে; যা চীনের অপর দুই রণতরী থেকে অনেক বেশি। চীনের আগের দুই রণতরী শ্যানডং ও লিয়াওনিংয়ের পানি অপসারণ ক্ষমতা ছিল যথাক্রমে ৬৬ হাজার ও ৬০ হাজার মেট্রিক টন। নিঃসন্দেহে ফুজিয়ান চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সক্ষমতার এক নতুন মাইলফলক।
চীন তার তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী ফুজিয়ানকে পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে নামিয়েছে। এই রণতরীটি চীনের নৌশক্তি বৃদ্ধির সর্বশেষ উদাহরণ। বুধবার চীন সাংহাইয়ের নিকটবর্তী সমুদ্রে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় ফুজিয়ানকে।
ফুজিয়ান চীনের সর্বাধুনিক রণতরী হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও সর্বশেষ রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
তবে সিএনএন বিভিন্ন থিংক ট্যাংকের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, তুলনা যদি করা হয় তাহলে পানি অপসারণের দিক থেকে জেরাল্ড ফোর্ড অনেক এগিয়ে। ফুজিয়ানের সক্ষমতা যেখানে ৮০ হাজার মেট্রিক টন অপসারণের, সেখানে জেরাল্ড ফোর্ড অপসারিত করতে পারে ১ লাখ মেট্রিক টন।
যুদ্ধবিমান ধারণক্ষমতার দিক থেকেও এগিয়ে মার্কিন রণতরীটি। জেরাল্ড ফোর্ড যেখানে ৭৫টি যুদ্ধবিমান ধারণ করতে পারে, সেখানে ফুজিয়ানের সক্ষমতা ৬০টিতেই সীমাবদ্ধ। ফুজিয়ানে যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন কাজে ব্যবহৃত ক্যাটপুল্ট ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক। জেরাল্ড ফোর্ডে এ সুবিধা থাকলেও অন্যান্য মার্কিন রণতরীতে এটি নেই।
আরেকটি জায়গায় ফুজিয়ান জেরাল্ড ফোর্ডের চেয়ে পিছিয়ে। মার্কিন রণতরীটি যেখানে পরমাণু শক্তিচালিত সেখানে ফুজিয়ান এখনো প্রথাগত জ্বালানিনির্ভর। ফলে রসদ ফুরিয়ে না গেলে জেরাল্ড ফোর্ডের তীরে ভেড়ার কোনো প্রয়োজন নেই; কিন্তু ফুজিয়ানের ধারাবাহিকভাবে সাগরে থাকতে হলে কোনো ওয়েল ট্যাংকারের সহায়তা নিতে হবে।