যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিলিস্তিন সমর্থকদের সঙ্গে ইসরাইলপন্থিদের সংঘর্ষ হয়েছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
আর মধ্যেই বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করেছেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
সোমবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ সপ্তাহান্তে প্রায় ২৭৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এক সপ্তাহেরও বেশি আগে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ দ্রুত আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হওয়া এই ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি পুলিশি দমন-পীড়ন এবং গ্রেফতার অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের ভেতরেই ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করেছেন। ক্যাম্পাসের আইভি লিগ স্কুলের সামনে যেখানে এই পতাকা উত্তোলন করা হয় সেই জায়গাটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকার জন্য সংরক্ষিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নিউজকে বলেন, ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভের অধিকারকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি পুলিশের দমনপীড়ন ও গ্রেফতার অব্যাহত আছে।
এ পরিস্থিতিতে গাজায় দ্রুতই যুদ্ধবিরতি চাইছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সোমবার তিনি সৌদি আরবে পৌঁছান।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রিয়াদে সৌদির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে কাতার, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন।
অন্যদিকে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসরে পৌঁছেছে। ইসরাইলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় প্রস্তাবের জবাব দেবে এ প্রতিনিধি দল। এবারই প্রথম ইসরাইল স্থায়ীভাবে গাজায় ‘যুদ্ধের অবসান’ নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে।
গাজায় গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। রোববার ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা শিগগির আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখোমুখি হতে পারেন।