ইসরাইলে ইরানের হামলার পর দেশটির উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কারণে এবার কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। খবর রয়টার্সের
আন্তর্জাতিক বাজারে সোমবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২৯ সেন্ট কমেছে। এদিন প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ ডলারে।
অন্যদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাজারে এই তেল প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয় ৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে।
মার্কিন সিনেট ইতোমধ্যে ইরানের তেল রপ্তানি কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার চিন্তা করছে। এতে ইরানি তেল পরিচালনাকারী জাহাজ, বন্দর এবং শোধনাগারগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তেলের দাম আরো কমে যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ইসরাইল উত্তেজনা না থামলে ইরানের তেল পানির দরে বিক্রির ব্যবস্থা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক ইয়েপ জুন বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে। তিনি উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বর্তমানে বিক্রির ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ও ইসরাইলের জন্য বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে। ফলে ইরানের জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনটা হলে ইরানের জ্বালানি তেল উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারেও।