Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত মিয়ানমারের নাগরিক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত মিয়ানমারের নাগরিক

২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মিয়ানমারের নাগরিক ড. মং জারনিকে মনোনীত করেছেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রখ্যাত শান্তিবাদী নেতা মাইরেড করিগান ম্যাগুইয়ার। ১৯৭৬ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ড. মং জারনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তিনি মিয়ানমারের মানবাধিকারকর্মী। তিনি গণহত্যা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।

নোবেল কমিটির কাছে ম্যাগুইয়ারের দেওয়া চিঠিতে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য জারনির অবদান এবং তিব্বত, পূর্ব তিমুর, নাইজেরিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিস্তিন ও ইহুদী প্রবাসীদের শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য অহিংসা প্রচারে জারনির কর্মকাণ্ডকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে বার্মিজ ঐতিহ্যবাহী নতুন বছরের প্রাক্কালে দ্য ফোর্সেস অব রিনিউয়াল সাউথ ইস্ট এশিয়া (এফওআরএসইএ) এবং দ্য ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন (এফআরসি) যৌথভাবে মং জারনিকে ম্যাগুইয়ারের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি জানায়। তিন দশক ধরে জারনির ‘বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য সক্রিয় এবং অক্লান্তভাবে কাজ করার’ কাজের ওপর ভিত্তি করে তাকে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

জারনি বলেন, কিছু পুরস্কারের কারণে নোবেল পুরস্কার গভীরভাবে কলঙ্কিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়াত হেনরি কিসিঞ্জারই ছিলেন সবচেয়ে কুখ্যাত। ‘একজন উগ্র সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হিসেবে আমি ম্যাগুইয়ারের পছন্দ হতে পেরে অনেক গর্বিত।’

মাইরেড করিগান ম্যাগুইয়ার দীর্ঘ সময় ধরে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন করে গেছেন। তিনি ইসরাইলের পারমাণবিক তথ্য ফাঁসকারী মোরদেচাই ভানুনু, নিপীড়িত ফিলিস্তিনি এবং উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। অতীতে তিনি এডওয়ার্ড স্নোডেন, চেলসি ম্যানিং ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।

৬০ বছর বয়সি মং জারনি ফ্রি বার্মা কোয়ালিশন (১৯৯৫-২০০৪), এফওআরএসইএসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও প্ল্যাটফর্মের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক। জারনি বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে পুরোনো জাতিগত প্রতিরোধ সংগঠন দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (প্রতিষ্ঠা ১৯৪৭) উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

জারনির জন্ম ও বেড়ে ওঠা মিয়ানমারের মান্দালয়ে এক সেনা পরিবারে। জেনারেল নে উইনের ‘সমাজতান্ত্রিক’ সামরিক একনায়কতন্ত্রের শাসনকালে শিক্ষাবিদ মা ও সামাজিকভাবে সচেতন ব্যবসায়ী বাবার ঘরে তার জন্ম। কিশোর বয়সে তার মা-বাবার কাছ থেকে সম্প্রদায়কে সংগঠিত করতে শিখেছেন। তার মা-বাবাও তাদের এলাকার জন্য স্ব-সহায়ক সাম্প্রদায়িক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম