ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্ব: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলায় চরম হয়ে ওঠে ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক। হামলায় ইরানের শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ায় ক্ষেপেছে তেহরান। রীতিমতো ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছে দেশটি। এরই মধ্যে ইরানের হুঁশিয়ারির পর ইসরাইলজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ফলে গাজার পাশাপাশি ইরান-ইসরাইলের মধ্যেও যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সামরিক শক্তিতে দুই দেশের মধ্যে কে এগিয়ে রয়েছে বা কোন দেশের ক্ষমতা কতটুকু?-এটাই প্রশ্ন।
সামরিক সক্ষমতায় কোন দেশ কোন অবস্থানে রয়েছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’ ওয়েবসাইটটি। সেখানে দেখা যায়, একেকটি সূচকে ইরান ইসরাইলের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইসরাইলের চেয়ে পিছিয়ে। খবর বিবিসি।
অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তির দিক থেকে ইসরাইল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানও সামরিক প্রযুক্তিতে অনেকদূর এগিয়েছে। ফায়ার পাওয়ার সূচকে ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরাইলের ১৭তম। যেখানে ইরানের নিয়মিত সেনাসংখ্যা ছয় লাখ ১০ হাজার সেখানে ইসরাইলের সেনাসংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার।
এছাড়াও ইরানের রিজার্ভ সেনা রয়েছে তিন লাখ ৫০ হাজার অন্যদিকে ইসরাইলের চার লাখ ৬৫ হাজার সেনা রয়েছে। ইরানের আধাসামরিক বাহিনী বাহিনীর সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার অপরদিকে ইসরাইলের আধা সামরিক বাহিনী মাত্র ৩৫ হাজার। ইরানের মোট সামরিক উড়োজাহাজ সংখ্যা ৫৫১টি কিন্তু এদিকে এগিয়ে ইসরাইল। তাদের সামরিক উড়োজাহাজ ৬১২টি। যুদ্ধবিমানের সংখ্যায় তাকালে দেখা যাবে ইরানের আছে ১১৬টি বিমান।
অন্যদিকে ইসরাইলের রয়েছে ২৪১টি যুদ্ধবিমান। ইরানের সাঁজোয়া যানের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৫টি। অন্যদিকে ইসরাইলের রয়েছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও এগিয়ে ইরান। তাদের রয়েছে ১৯টি সাবমেরিন অন্যদিকে ইসরাইলের সাবমেরিন সংখ্যা মাত্র ৫টি। এছাড়াও ইরান ও ইসরাইলের হাতে রয়েছে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
ইসরাইলের ‘আয়রন ডোম’ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। এর সুবাদেই বর্তমান যুদ্ধে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও গাজার সশস্ত্র বাহিনী হামাসের রকেট থেকে নিজেদের অনেকটাই রক্ষা করছে ইসরাইল।
এছাড়া দেশ দুটির হাতে রয়েছে বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও হামলার কাজে ব্যবহার করা যায় এমন বহু ড্রোন। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞ মহলে দাবি-ইসরাইলের কাছে পারমাণবিক বোমাও রয়েছে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলে না দেশটি। অন্যদিকে, আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের সন্দেহ ইরানও পরমাণু বোমা তৈরিতে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। যদিও এসব বিষয় ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’ ওয়েবসাইটে উল্লেখ নেই।