ছেলে গৌরব নাগকে (৭) সাঁতার শেখাতে পুকুরে নামেন বাবা গোবিন্দ নাগ (৩২)। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে গোবিন্দ বাড়িতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় তার পরিবার।
খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকজন পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন গোবিন্দ ও তার ছেলের জুতা-গামছা পড়ে রয়েছে। পানি ডুবে মারা যান দুজনেই।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলা রেলস্টেশনের কাছে রবীন্দ্র নগরের কালিতলায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় ভালো রাঁধুনি হিসেবে পরিচিত ছিলেন গোবিন্দ নাগ। হুগলির স্টেশনের কাছে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার বিকালে কাজ থেকে ফিরে ছেলেকে সাঁতার শেখাতে স্থানীয় একটি পুকুরে নিয়ে যান। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে গোবিন্দ বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পানিতে নেমে তল্লাশি শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় ডুবুরিদের। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি, রাত ১১টায় পানি থেকে গোবিন্দ ও তার ছেলেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ মদখেয়ে মাতাল অবস্থায় ছেলেকে সাঁতার শেখাতে নেমেছিলেন বাবা।
কোদালিয়া পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য পরিতোষ মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাবা ছেলেকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিল তখন ঘাটে কয়েকজন দেখেছে। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়। দুইজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা শিশুটির বাবা মদ খেয়ে মাতাল ছিলেন।